করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়ঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধে করনীয়

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম হচ্ছে করোনাভাইরাস। রোগটি এতটাই বিস্তার করেছে যে এখনো পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে চার লাখের অধিক মানুষ করনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ভয়ঙ্কর ক্ষমতাশালী অতিক্ষুদ্র জীবাণু মানব সমাজকে দ্রুত এবং আগ্রাসীভাবে আক্রান্ত করে যাচ্ছে। যার ফলে দিন দিন নতুন করে বাড়ছে হাজার ও প্রাণহানির সংখ্যা। করোনা ভাইরাস এতটাই বিধ্বংসী যে এটি খুব দ্রুত মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে এবং ফুসফুসের সংক্রমণ ছড়ায়। ভাইরাসটি ফুসফুসে আক্রান্ত করে শ্বাসতন্ত্রের মধ্য দিয়ে অন্য আরেকজনের শরীরে প্রবেশ করে আর এভাবেই করোনা ভাইরাস একজনের শরীর থেকে আরেকজনে শরীরে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এখনো পর্যন্ত করনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য আলাদা আলাদা ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেহেতু করনা ভাইরাসের এখনো কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি তাই বিজ্ঞানীরা সাধারণ মানুষকে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে কিছু জনসচেতনা মূলক নির্দেশিকা দিয়েছেন। যে নির্দেশিকা মানলে নিজেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার থেকে বাঁচাতে পারবেন।

করোনাভাইরাস কি ভাবে ছড়ায়ঃ

করোনা ভাইরাসে নিজেকে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে আগে জানতে হবে করোনা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়
বিভিন্ন গবেষণা থেকে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে ভাইরাসটি বিভিন্ন ভাবে মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে। করোনাভাইরাস বায়ুর মাধ্যমে ছড়ায়। করোনায় ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির তিন ফিট দূরত্ব থাকলেও বায়ু মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করতে পারে। কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার করা কোন জিনিস অন্য কেউ ধরলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। করোনা ভাইরাস নাক-মুখ চোখ এমনকি যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে শরীরে ভিতরে প্রবেশ করতে পারে

যে যে লক্ষণ গুলো দেখলে বুঝতে হবে এটি করোনাভাইরাসের লক্ষণঃ

করনা ভাইরাস আক্রান্ত করলে প্রাথমিকভাবে হালকা জ্বর ও কাশি শুরু হয় এরপর পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে এটি বাড়তে থাকে। করোনাভাইরাস প্রাথমিকভাবে গলায় বংশ বিস্তার শুরু করে যার কারণে গলায় প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হয়।সাথে চলতে থাকে প্রচন্ড কাশি যা অনেক কষ্টদায়ক। এই পুরো প্রক্রিয়াটির লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় ৫-৬ সময় লাগে। তারপর ধীরে ধীরে টি ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। যার ফলে শুরু হয় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। আর করোনা ভাইরাসের পুরোপুরি লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে ১৪ দিন সময় লেগে যায় অনেক সময়।

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে যা করতে হবেঃ

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে তিন হাত দূরে থাকতে হবে। নাক মুখ চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বাসার বাইরে থেকে আসলে সাথে সাথে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত হাত ধুতে হবে। সবসময় মাক্স পড়তে হবে। কাশি শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত যেকোনো কিছু ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

নিজের শরীরের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে যা যা করতে হবেঃ

নিজের শরীরে করানোর উপসর্গ দেখা দিলে সর্বত্র নিজেকে আলাদা রাখুন। মাক্স ব্যবহার করুন। এবং নিকটস্থ  IEDCR যোগাযোগ করুন  এবং সকল ধরনের দুশ্চিন্তা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কারণ এখনো পর্যন্ত ৮৫ ভাগ মানুষই বাসা থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে পেরেছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × two =

Scroll to Top