নিম পাতার উপকারিতা
বলা হয় নিম একটি পরোউপকারী গাছ। কারন নিমের এমন কোন অংশ নেই যা মানুষের কাজে লাগে না। নিমের ডাল ,পাতা , রস সবই মানুষের কাজে লাগে । বিশেষত চিকিৎসা খ্যাত ও বিভিন্ন প্রাসধনী খ্যাতে নিম গাছের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার হচ্ছে প্রচুর। এশিয়া মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে নিম গাছ প্রায় সব খানে পাওয়া যায়।
প্রাচীন কাল থেকেই আদিম মানুষেরা নিম গাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় রসদ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেছিলো । তখন কার সময় মানুষ নিম পাতা থেকে বিভিন্ন প্রসাধনী তৈরি করে ছিলো। এবং নিম পাতার রস কে ব্যবহার করেছিলো কৃমিনাশক নিরাময়ক হিসেবে। যা এখন কার সময়ে ও মানুষ ব্যবহার করে চলছে প্রতি নিয়ত।
আর এই জন্যেই নিম গাছ কে সর্বত্ত বলা হয় নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ।
নিম গাছের ওষুধি গুনাগুনঃ
নিম গাছের নানা রকম গুনাগুন রয়েছে। সব ক্ষেত্রে এর ব্যবহার রয়েছে। মানুষ প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে নিম গাছের ডাল, পাতা ও এর চাল থেকে ত্বকের পরিচর্যায় এবং বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানানো শুরু করে বলে ধারনা করা হয়।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে নিম গাছের মতো একাদিক ওষুধি গুনাগুন সম্পন আর অন্য কোন উদ্ভিত নেই। কারন নিম গাছে বিভিন্ন অংশ দিয়ে নানা রকম বড় বড় রোগ উপশম হয়। নিম গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রস্তুত করা হয় এন্টিব্যায়টিক যেটি ব্যবহার করা হয় জীবাণুনাশক, রক্ত পরিষ্কারক চর্মরোগ, ব্রন, কৃমি,ও ক্ষত সারানোর কাজে।
এছাড়াও আরো নানা রকমের রোগ থেকে পরিত্রাণ দে এটি।
ত্বকের যত্নে নিম পাতাঃ
ত্বকের বিভিন্ন রোগের জন্য নিম পাতা বেশ কার্যকারি ওষুধ। বিশেষ করে চর্মরোগের চুলকানির ও খোস-পাঁচড়ার জন্য নিমের পাতা ও এর বাকল বেঁটে নিয়মিত তিন-চার দিন গায়ে মেখে দুই-তিন ঘণ্টা পর গোসল করে ফেললে এই রোগ গুলো ভালো হয়ে যায়।
এছাড়াও নিম গাছের পাতা ও বাকল পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গোসল করলে একই উপকার পাওয়া যায়।
নিম গাছের পাতা বেশ কার্যকরি জীবাণুনাশক হিসেবে।ক্ষত স্থানে নিম গাছের পাতা বেঁটে এর প্রোলেপ দিলে দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
ডাক্তারদের মতে নিমপাতার পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করলে শরীর সুস্থ থাকে। এছাড়া নিমপাতায় রয়েছে ভিটামিন ই এবং অনেক ফ্যাটি অ্যাসিড যার কারনে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের আক্রমণের হাত থেকে আমাদের ত্বকে সুরক্ষায় করে।
নিমপাতা ব্রনের সমস্যা দূর করেঃ
বয়স অনুযায়ী অনেকেই মুখে ব্রণের সমস্যায় ভুগেন । এই সমস্যা সমাধানের জন্য নিমপাতা বেঁটে এর প্রোলেভ মুখে ব্রণ উঠার স্থানে লাগালে খুব ভালো ফল মেলে এতে।
চুলের যত্নে নিমপাতাঃ
নানা রকম ভেজষ গুনের অধীকারি নিমপাতায় মাথার চুল পড়া কমায়। ডাক্তাদের মতে বাজারে যেসব ক্যামিকেল যুক্ত শ্যাম্পু আছে সে গুলো ব্যবহার না করে নিয়মিত পাঁচ-ছয় দিন পর পর নিম পাতা সেদ্দ করে এর পানি দিয়ে গোসল করলে চুল পড়া কমে যাবে। এবং যাদের মাথায় উকুনের সমস্যা আছে তাদের উকুনের সমস্যা সেরে যাবে এবং এতে সব সময় চুল থাকবে নরম ও কমল।
খুশকি দূর করতে নিমপাতার ব্যবহারঃ
প্রায় সকল ধরনের মানুষ খুশকি সমস্যা ভুগেন । আর এই সমস্যা সমাধান রয়েছে নিম পাতা ব্যবহার করার ম্যাধমে। তিন দিন পর পর নিমপাতার রস দিয়ে মাথা চুল গুলো ভালো করে ধুয়ে পেলুন । এতে চুলের খুশকি ও উকুন সমস্যা সমাধান হবে।
দাঁতের যত্নে নিমঃ
মুখের দুর্গন্ধ ও জীবানুনাশকের জন্য বেশ কার্যকরি নিম গাছের ডাল। নিয়মিত নিমগাছের ডাল দিয়ে দাঁত মাঝলে মুখের দুর্গন্ধ ও দাঁতের পাঁকে জমে থাকা জীবাণুর স্তর ধ্বংস হয়। এবং এতে দাঁতের মাড়ি মজবুত হয়।
ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণে নিম পাতাঃ
নিম পাতা ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডাক্তারা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য তিক্ত খাবার সুপারিশ করে সব সময়। আর এই জন্য নিয়মিত প্রতিদিন সকালে নিম্ পাতার রস পান করলে ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণ থাকে। এছাড়া নিমপাতা পানিতে সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মহৌষধ থানকুনি পাতার উপকারিতা
নিম পাতা সম্পকে আরো জানুন
ঘরোয়া ফেসিয়াল করার সহজ ৫টি উপায়
চুলের খুশকি দূর করার সহজ উপায়
গর্ভাবস্থায় খাবার গ্রহণে বিধি নিষেধ